ক্যারিয়ার বা কর্মজীবন খুবই গুরুগম্ভীর একটা শব্দ।গুরুগম্ভীর এই শব্দটির তাৎপর্য বুঝে উঠতেই পার হয়ে যায় শৈশব,কৈশর,যৌবন। বসন্তবহ যৌবনের হাজারো খেয়ালীপনার মধ্যে যখন ক্যারিয়ার শব্দটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আমরা তখন খেই হারিয়ে ফেলি।এত এত গ্রাজুয়েটবৃন্দদের মধ্যে নিজেকে তখন পীপিলিকা মনে হয়। চাকুরী নাকি ব্যাবসা। এ দ্বার ও দ্বার করে করে একসময় হতাশাই হয় জীবনসঙ্গী। তবে আমরা যদি একটু সচেতন ভাবে খেয়াল করে দেখি এই তথ্য প্রযুক্তিই হচ্ছে আমাদের সম্ভাবনার দ্বার। প্রযুক্তি যখন অনেক এগিয়ে তবে আমরা কেন পিছিয়ে? এখন সম্ভাবনা ঘরে ঘরে।প্রযুক্তির আলোয় আলোকিত হয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলেই সার্থকতা।একসময় ভাবা হতো বেকারত্ব মানের অভিশাপ।সময় এগিয়েছে। দিন পাল্টাচ্ছে। এখন বেকারত্ব কোন অভিশাপ নয়। এই বেকারত্ব হতে পারে আমার আপনার দিন বদলের সূচনা।
ক্যারিয়ার গঠনে ফ্রিল্যান্সিং:
ক্যারিয়ার গঠনে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে সম্ভাবনার নতুন দ্বার। ফ্রিল্যান্সিং!! শব্দটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে তাই না! এর ভাবার্থ ভাবাচ্ছে আপনায়? আচ্ছা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী না থেকে নিজের মত স্বাধীনভাবে কাজ করা। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা।স্বাধীনতা কে না পছন্দ করে। আর সেটা যদি হয় চাকুরী ক্ষেত্রে তবে তো কোন কথাই নেই। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে। যেমন: ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, নেটওয়ার্কিং এর কাজ, ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া, সেলস এন্ড মার্কেটিং, পার্সোনাল হেল্প, আর্টিকেল লেখা ও অনুবাদ ইত্যাদি। পছন্দ মতো সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ শিখেই শুরু করে ফেলা যায় ফ্রিল্যান্সিং।
কিন্তু কথা হলো কাজ শিখতে তো কিছু পরিমান অর্থ খরচ করতে হয়। হয়তো আমার আপনার ক্ষেত্রে এই পরিমান অর্থ কিছুই না। যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে খেয়াল করি তবে হয়তো অনেকেরই এই পরিমান অর্থ নেই কিংবা শেখার মতো ব্যাবস্থা নেই। আমরা চাইলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে গুগল,ইউটিউব থেকে ফ্রিতে শিখে নিতে পারি। শুধু প্রয়োজন একটু ধৈর্য্য আর একটু সাধনা।
প্রবল ইচ্ছা শক্তিই পারে নিজেকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে। ২১ শতকে এসে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা চিন্তার দিন আর নয়। দিন বদলে এগোচ্ছে বিশ্ব, এগোচ্ছে দেশ। তথ্য প্রযুক্তি হোক আমাদের সকলের আশার আলো। প্রযুক্তির আলো দিশা আমাদের সকলকে এগিয়ে নিয়ে যাক।